কখন কোন গিয়ার ব্যবহার করবেনঃ বাইসাইকেল টিপস


বাইসাইকেল স্বস্তির সাথে এবং কম কষ্টে চালাতে গেলে সঠিক রোড কন্ডিশনে সঠিক গিয়ার ব্যবহার জরুরী। আসুন জেনে নেই কখন কোন গিয়ারে সাইকেল চালালে শক্তি তূলনামূলক কম লাগে-
(এই লেখায় গিয়ার কম্বিনেশন বুঝানো হয়েছে সামনের এবং পেছনের গিয়ারে মাঝে হাইফেন ব্যাবহার করে। যেমনঃ ২-৪ বলতে বোঝানো হয়েছে সামনের গিয়ার ২ আর পেছনের গিয়ার ৪ )


১| স্থির অবস্থা থেকে চালানো শুরু করার সময় লো গিয়ার দিয়ে শুরু করুন, তবে বেশি লো যেন না হয়, ২-৩ বা ২-৪ কম্বিনেশন শুরুর জন্য ভালো। তারপর আস্তে আস্তে স্পিড বাড়ানোর সাথে সাথে গিয়ার বাড়ান। ব্রেক করার সময় গিয়ার কমিয়ে ব্রেক করুন, যাতে আবার চালানো শুরু করার সময় গিয়ার লো অবস্থায় পেতে পারেন।

(লক্ষ করবেন- বাইক বা মটরচালিত গাড়ি গুলা ফার্স্ট গিয়ার দিয়ে চালানো শুরু করতে হয়, সেকেন্ড গিয়ার দিয়ে অনেক সময় শুরু করা যায়, কিন্তু এতে ইঞ্জিনে চাপ পড়ে বলে মনে হয়, এর চেয়ে হাই গিয়ার দিয়ে চালানো শুরু করলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর কারন হলো স্থির অবস্থা থেকে গাড়ি চলতে শুরু করার সময় লো গিয়ার থাকলে ইঞ্জিনের শক্তি কম খরচ হয়, কিন্তু হাই গিয়ার হলে শক্তি বেশি লাগে যেটা ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে না, তাই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।)



২| উঁচু রাস্তা দিয়ে উঠার সময় গিয়ার লো রাখুন। অল্প ঢাল বেয়ে উঠার সময় ২-৩ ব্যবহার করতে পারেন, তবে বেশি খাড়া রাস্তা হলে ১-৩ বা ১-২, আর অতিরিক্ত খাড়া রাস্তা (যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং লট থেকে বের হয়ে আসার সময়) হলে ১-১ ও ব্যবহার করতে পারেন।

৩| সমতলে চালানোর সময় সামনের গিয়ার ২ এবং পিছনের গিয়ার ৪ থেকে ৬ পর্যন্ত রেখে চালাতে সুবিধা হয়। তবে সামনের গিয়ার ৩ দিয়ে ও চালানো যায়, সেক্ষেত্রে অনেক শক্তি লাগবে এবং সহজেই হয়রান হয়ে যাবেন।



৪| ঢাল বেয়ে নামার সময় ৩-৫ বা তার চেয়ে বেশী গিয়ার ব্যাবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নামতে হবে, তা না হলে কোন কারণে ব্রেক করলে সাইকেল উল্টে যেতে পারে।

কিছু জিনিস বলে রাখা ভালো-
  • রাস্তায় অনেক সাইক্লিস্ট কে দেখা যায় জ্যামের মধ্যেও ২-৬ বা আরো বেশী গিয়ার কম্বিনেশন দিয়ে সাইকেল চালাচ্ছেন। তাতে শুধু শুধুই পায়ের ওপর চাপ পড়ে, তাই জ্যামের মধ্যে ২-৩ বা ২-৪ ব্যাবহার করুন, তাতে সাইকেলের ওপর কন্ট্রোল ও বাড়বে।
  • এখানে যেসব গিয়ার কম্বিনেশন দেয়া আছে, রাইডার ভেদে তা সবার জন্যে সমান নাও হতে পারে। যেমন- একজন রাইডার হয়তো জ্যামের মধ্যে ২-৩ কম্বিনেশনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, কারণ তার শক্তি তুলনামূলক ভাবে কম। আবার আরেকজন ২-৩ এর থেকে ২-৫ পছন্দ করেন, কারণ তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী।
  • সামনের গিয়ার ১ এ দিয়ে পেছনের গিয়ার ৭/৮ এরকম ব্যাবহার করবেন না, তেমনি সামনের গিয়ার ৩ এ দিয়ে পেছনের গিয়ার ১/২ ব্যবহার করবেন না, তাতে চেইনে অনেক প্রেসার পড়ে। এটাকে ক্রস-চেইনিং বলা হয়ে থাকে। এটি এড়ানোর কোন নির্দিষ্ট সূত্র নেই, তবে সামনের ১ এর সাথে পেছনে ১/২/৩, সামনের ২ এর সাথে পেছনে ৩/৪/৫/৬ এবং সামনের ৩ এর সাথে পেছনে ৫/৬/৭/৮ সাধারণত ব্যবহার করা হলে ক্রস-চেইনিং এড়ানো যায়।


গিয়ার কম্বিনেশন বিস্তারিত বোঝার জন্য এই ইংরেজি ভাষার এই ভিডিও টি দেখতে পারেনঃ https://youtu.be/5O1LEjNW5Bw


Post a Comment

0 Comments