CELOCO বাইসাইকেল হেডলাইট ও হর্ণ : রিভিউ


Celoco bicycle headlight review

ছবি দেখেই নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আজকে কিসের রিভিউ লিখছি। এই হেডলাইটের নামটাও ঠিক অনেকেরই জানা নাই, কিন্তু এমন কেউ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে সাইক্লিং করেন আর এই জিনিস দেখেন নি। বাংলাদেশে বর্তমানে এটা এতোটাই জনপ্রিয়।

এটি শুধুমাত্র একটি হেডলাইট নয়, এর সাথে একটি হর্ণ ও আছে। হেডলাইটটি আসলে এক বন্ধুর কাছ থেকে নিয়েছিলাম। ব্যবহার করে এতোটাই আরাম পেয়েছি যে তা আর ফেরত দিতে মন চায়নি। নিজে তো খুশি, কিন্তু যার লাইট সে তো খুশি না। তাই কিছু টাকা দিয়ে বন্ধুকেও খুশি করে দিলাম! প্রায় ৩ বছর হতে চললো এখনো দেদারসে ব্যবহার করছি। তো কথা না বাড়িয়ে আগে এর স্পেসিফিকেশনগুলো দেখে নেই-
  • Mounting Placement: Handlebar
  • Power Supply: Battery
  • Charging mode: USB Rechargeable
  • Model Number: JK-headlight-54236
  • Brand Name: Celoco
  • Lamp beads: T6
  • Lumens: 250
  • weight: 83 gm
  • waterproof: IPX6
  • Lighting mode: 3 modes
  • colour: 5 colours
  • material: ABS
  • Battery: 1200 mh Lithium battery

হেডলাইট

স্পেসিফেকেশন দেখেই বুঝতে পারছেন এটি হাই-এন্ড কোন হেডলাইট নয়। কিন্তু ২৫০ লুমেন আলোর এই লাইটটি অন্ধকারে ভালো মতো দেখার জন্য যথেষ্টের থেকেও বেশি। লাইটটির আলো টর্চলাইটের মতো এক জায়গায় জড়ো হয়ে পড়ে না, আবার খুব বেশি ছড়িয়েও যায় না। তাই খুব সুন্দর ভাবে রাস্তা দেখা যায়, আবার অন্য কারো অসুবিধাও হয়না।

হেডলাইট ৩ টি মোডে জ্বালানো যায়। এক- ফুল পাওয়ারে (২৫০ লুমেন), দুই- কিছুটা ডিম (সম্ভবত ১৫০ লুমেন) এবং তিন- ব্লিঙ্কিং মোডে।
ফুল পাওয়ারে এটি প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যবহার করা যায়। ডিম মোডে ৪-৫ ঘন্টা ব্যাক-আপ দেয়।


বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় যে সাধারণ সিটি রাইডের জন্য ডিম মোডে চালানোই যথেষ্ট। কারণ শহরে এমনিতেই স্ট্রিট লাইট থাকে সব রাস্তায়। তবে হাইওয়েতে রাইডের জন্য ফুল পাওয়ারে জ্বালানো প্রয়োজন হয়।

১২০০ এমএইচ রিচার্জেবল ব্যাটারি মাইক্রো ইউএসবি টাইপ-বি (স্যামসাং ফোনে বহুল ব্যবহ্রত) চার্জার দিয়ে চার্জ করা যায়। মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘন্টায় ফুল চার্জ হয়ে যায় (চার্জার ভালো হলে)। তাই চার্জিং নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবে না!

মোটামুটি ওয়াটারপ্রুফ হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে আরামসে ব্যবহার করা যায়। তবে পানিতে ডুবিয়ে রাখলে কিছু হবে না এই ব্যাপারে গ্যারান্টি দিতে পারবো না হাহা। লাইটের নিচে বেল্ট দেয়া আছে যা দিয়ে হ্যান্ডেলবারের যে কোন জায়গায় একে মাউন্ট করা যায়।

হর্ণ

হর্ণ এর কয়েক রকমের সাউন্ড আছে। নতুন অবস্থায় মোটামুটি ভালোই জোরে শব্দ করে। মেইন লাইট থেকে ১৫-২০ ইঞ্চি লম্বা ক্যাবল দিয়ে হর্ণের সুইচ আলাদা করা, যা গ্রিপের কাছাকাছি লাগানো যায়।


হর্ণের সাউন্ড প্রথম দিকে অনেক জোরালো থাকলেও পরবর্তীতে দূর্বল হয়ে যায়। তাছাড়া হর্ণ ব্যবহারে ব্যাটারির চার্জ অনেক তাড়াতাড়ি কমে যাচ্ছিলো তাই হর্ণ এর লাইন কেটে দিয়েছিলাম। তবে তাতে কোন সমস্যা হয়নি বরং সুবিধে হয়েছে। লাইট এর ব্যাকআপ অনেক বেশি পাচ্ছিলাম।

দাম ও প্রাপ্তিস্থান

২০১৬ সালে যখন কিনেছিলাম তখন ৭০০ টাকা নিয়েছিলো। তবে বর্তমানে দাম অনেক কমে এসেছে। দোকান ভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা দাম রাখে সাধারণত। এবং প্রায় সব সাইকেলের দোকানেই এই লাইট পাওয়া যায়।

সাশ্রয়ী মূল্য, ভালো কোয়ালিটি, লং টাইম সার্ভিস - সব মিলিয়ে হেডলাইটটি বাংলাদেশে সবার মাঝে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই যদি কম বাজেটের মধ্যে ভালো একটি হেডলাইট কিনতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে এটি কিনতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments