Veloce Combi Tandem Review : আরিফ আর. হোসাইন এর লেখা

Veloce Combi Tendem Bike 2017

বিডি সাইক্লিস্ট ফেসবুক গ্রুপ থেকে সংগৃহীতঃ

কিনেছি আরও ১২/১৪ দিন আগে। ইচ্ছে করেই ছবি দেইনি।
দেইনি কারণ, সাইকেল শুধু একটা ২ চাকার বাহন না... ইটস আলসো এ লাইফ স্টাইল।
দেখতে চাচ্ছিলাম অভ্যস্ত হতে পারি নাকি এই লাইফস্টাইলে।

মনে হয় পেরেছি... কেনার পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১২ কিমি চালিয়েছি (প্রমাণও ছবির সাথে দিলাম)।


এখন আসলেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি... এমনকি সেদিন বাজারও করে নিয়ে এসেছি সাইকেল চালিয়ে।

আজকে সত্যিকার অর্থে নিজেকে বিডি সাইক্লিস্টের মেম্বার হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

দোয়া করবেন যেন সাইকেলের এই ক্রেজটা থাকে।

---

*কিছু মানুষকে ধন্যবাদ না দিলেই নয়... রাহাত ভাইকে থ্যাংকস এতো সুন্দর সাইকেলের খোঁজ পাইয়ে দেয়ার জন্য। ফুয়াদ ভাইকে থ্যাংকস সাইকেলে ডিস্কাউন্ট ম্যানেজ করে দেয়ার জন্য এবং কেনার পর পিছে আমাকে বসিয়ে মেইন রোড দিয়ে এটা চালিয়ে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য।

আসার পথে মজার কিছু ঘটনাও ঘটেছে। গুলশান ১ সিগন্যালে এক সিএনজি চালক অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন আমাদের দিকে... তারপর জিজ্ঞেস করেই বসলেন, “আসলে পিছের জনের কাজটা কি? হুদায়ই বয়ে থাকা?”

ফুয়াদ ভাই দাঁত বের করে এমন ভাবে মাথা নাড়ালেন যে ভাবটা এরকম যে সাইকেল অপারেশানের সব কাজ সেই করছে।

আমি সিএনজিওয়ালাকে বললাম, “শুনেন... আমি হইলাম সাইকেলের মালিক... তাই পিছে আরামে বইসে আছি... সামনের দাঁত বের করাজন আমার ড্রাইভার... এইবার ক্লিয়ার হইসে?”

সাথে সাথে ফুয়াদ ভাইয়ের দাঁত বন্ধ।

হাহা

যাই হোক... সাথে আরও থ্যাংকস দিতে চাই CycleLife Exclusive এর ফ্রিডম ভাইকে... চমৎকার একজন মানুষ। সাইকেলটা আনার পর থেকে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে উনাকে রাত বিরাতে ফোন করেছি... একবারও বিরক্ত হয়নি। লোকটা আসলেই একজন সাইকেল প্যাশনেট মানুষ।

---

এই টেনডেম সাইকেলটা আসলেই জোস... এটা কোনও রেসিং সাইকেল না কিন্তু ক্যালরি বার্ন করার জন্য এটা আসলেই মারাত্মক। এখন পর্যন্ত খুব স্মুথলিই এটাতে হায়েস্ট স্পিড উঠাতে পেরেছি ২৭ km/h!

আমি নিজেও সাইকেলের ব্যাপারে অতো বুঝি না... বাট আস্তে আস্তে বুঝার চেষ্টা করছি... বাট শুধু এটা বলতে পারি, এটার ভ্যালু ফোর মানি ইজ ওয়ার্থ

---

টেনডেম সাইকেলের কিছু ডিজ-এডভান্টেজ


যেহেতু এটা পার্টনারকে নিয়ে চালাতে হয়, তাই কিছু ডিজ-এডভান্টেজ তো আছেই

যেমন, যেদিন সারাটাদিন সম্পর্ক খুব ভালো কাটবে কেবল সেদিনই এটা চালাতে বের হওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তা না হলে পিছের জন রাগে গাল ফুলিয়ে মটকা মেরে বসে থাকবে, আর আপনাকে ২ জনের ভার টেনে নিয়ে যেতে হবে।

আবার মাঝে মাঝে চলতি পথেও ঝগড়া লেগে যায়... মেয়ে মানুষের মন হলে যা হয়... হুট করে হয়ত পুরান কথা মনে পরে গেলো।

শুরু হয়ে যাবে পিছন থেকে বকবক।

তখন আপনার আফসোস লাগবে এই টাকা দিয়ে ২ টা আলাদা সাইকেল কেন কিনলাম না ভেবে!

মাঝে মাঝে তো রাগে আমার মনে হয় এই সাইকেলের মাঝখানে যদি একটা হুক থাকত... তাহলে চলার পথে ঝগড়া লাগলে আস্তে করে হুক্টা খুলে এক চাক্কা নিয়েই জোরে চালিয়ে দূরে কোথাও চলে যেতাম।

কিন্তু আফসোস... এরকম সিস্টেম নেই

জোকস এ পার্ট... এই সাইকেল আসলে দ্বৈত কাজ করে... 
  1. ম্যাসিভ ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে... এবং 
  2. দাম্পত্য জীবনটা চমৎকার রাখে

সুতরাং এরকম কোয়ালিটি অন্য কোন সাইকেলে পাবেন না।

যারা এখনও দ্বিধায় আছেন টেনডেম কিনবেন নাকি, তারা কিনে ফেলতে পারেন।

ট্রাষ্ট মি, সংসার সুখের হবে।

আর যেদিন ভেজাল বাধবে, সেদিন না হয় চালালেন না।

কোনটা বেশী দরকার? ক্যালরি বার্ন? নাকি সুখি দাম্পত্য? হাহ


সাইকেলের অনান্য স্পেসিফিকেশন দেখুন - 


দামঃ ৩৫,০০০ টাকা
পাওয়া যাবেঃ CycleLife Exclusive এর যে কোন আউটলেটে (স্টক থাকা সাপেক্ষে)

Post a Comment

0 Comments