১। ভালো মানের তালা ব্যবহার
নতুন কিছু না, আমরা সবাই জানি ভালো মানের তালা ব্যবহার কতোটা জরুরী। কিন্তু আমরা খুব কম মানুষই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেই। সাধারণ মানের তালা ব্যাবহার করা মানে চোরের জন্য আপনার সাইকেল চুরি করাটা একদম সহজ করে দেয়া।সাধারণ মানের তালা কোনগুলা? বাজারে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে জংলী, বাইকের তালা নামে কিছু বাজে তালা পাওয়া যায়। বিশ্বাস করেন বা না করেন, এই তালা গুলো ভাঙ্গতে চোরের ১০ সেকেন্ডের বেশী লাগে না, দেখতে যতোই শক্ত মনে হোক না কেন! চিনে রাখার জন্য ওই তালার ছবি দেয়া হলো।
বাজারে অনেক ভালো মানের তালা পাওয়া যায়। সাইকেলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য দামী এবং ভালো মানের তালা ব্যবহার করুন। জাহাজের শিকল ও সাথে মোবাজ কোম্পানীর তালা কিংবা ক্রিপটনাইট লক কিনতে পারেন।
মনে রাখবেন, চোর তালা কাটার জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘুরে, তাই চোরকে যতোটুকু সম্ভব কম সুযোগ দিতে হবে। এস এস শিকল সাথে মোবাজ লক এবং ক্রিপটনাইট লকের ছবি-
২। একের অধিক তালা ব্যবহার
ভালো তালা ব্যাবহারে পাশাপাশি সম্ভব হলে একের অধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে আপনার সাইকেল চুরির প্রতি চোরের আগ্রহ কমে যাবে অনেকটা। আর আপনার সাইকেলের দামের তুলনায় ভালো দুইটা তালার দাম কিছুই না, তাই সাইকেলের নিরাপত্তার ব্যাপারে কিপটামি কেন করবেন!৩। জিপিএস ব্যবহার
কথায় আছে- কপালের লিখন না যায় খন্ডন! ভালো তালা ব্যবহারের পরেও চোর আপনার অসাবধানতার সুযোগ নিতে পারে। তাই সাইকেল চুরি হলে সাইকেলের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য সাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করতে পারেন।
মোটামুটি ভালো জিপিএস ট্র্যাকারের দাম পড়বে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। বাইসাইকেলের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা জিপিএস ট্র্যাকার পাওয়া যায় বাজারে, যা সিটের নিচে কিংবা ফ্রেমের ভেতরে লুকিয়ে রাখা যায়। সাইকেল একবার চুরি হলে সেটা পাওয়া মোটামুটি অসাধ্য যদি জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো না থাকে।
৪। নির্জন যায়গায় সাইকেল পার্ক না করা
এমন যায়গায় সাইকেল পার্ক করুন যেখানে মানুষের আনাগোনা অনেক। পারলে এটিএম বুথের সামনে সাইকেল পার্ক করে রাখতে পারেন, কারণ এটিএম বুথে সবসময় গার্ড থাকে, গার্ড কে ২০/৩০ টাকা দিয়ে সাইকেলের ওপর একটু নজর রাখতে বললে উনি না করবেন না বলেই মনে হয়। আর কোন দোকানের সামনে রাখলে দোকানদারকে বলে যাবেন সাইকেলের দিকে একটু খেয়াল রাখতে।
৫। সাইকেল চোখের আড়াল না করা
উপরের সবগুলা ব্যাপার মেনে চলার পরেও আপনার সাইকেল নিরাপদ না! কারণ চোর আপনার আশে পাশেই ঘুরছে, ভদ্রলোকের বেশে! আপনি ভালো তালা ব্যাবহার করেও যদি সাইকেল নির্জন কোন যায়গায় পার্ক করে যান তারমানে আপনি চোরকে এক্সট্রা সময় দিচ্ছেন আপনার দামি তালা কাটার জন্য। তাই সবসময় সাইকেল চোখে চোখে রাখুন।
কোন শপিং সেন্টারে গেলে পার্কিংয়ে রাখুন, সেইখানে সাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকলে আশে পাশের কোন শপিং সেন্টারে রাখুন যেখানে ব্যবস্থা আছে। তবে পার্কিংয়ে রাখার ক্ষেত্রে আপনার পার্কিং রিসিট নিতে অবশ্যই ভুলবেন না। পার্কিংয়ে গার্ড না থাকলে সেখানে সাইকেল না রাখাই উত্তম।
সিসি টিভি ক্যামেরার উপর বেশি ভরসা করবেন না। কারন ক্যামেরায় চোরের মুখ দেখা গেলেও একবার চুরি হয়ে গেলে খুব কম সময়ই সিসি টিভি ফুটেজ থেকে চোর ধরা পড়ে।
ওপরের কোনটাই যদি সম্ভব না হয়, অর্থাৎ যদি সাইকেল চোখে চোখে রাখতে পারবেন না আবার সেফ পার্কিংয়ের কোন জায়গা ও পাবেন না এমন কোথাও যেতে হয় তাহলে আমার ব্যাক্তিগত মতামত- সাইকেল বাসায় রেখেই যান!
৬| সন্দেহ থাকলে সাবধান হোন
যদি মনে হয় কেউ আপনাকে ফলো করছে কিংবা কারো আচরণ যদি সন্দেহজনক মনে হয় এমতবস্থায় সাইকেল পার্ক করে কোথাও যাবেন না। মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকা অবস্থায় সাইকেল সেখানে রেখে যাবেন না। প্রয়োজনে সাইকেল নিয়ে বাসায় ফেরত যান, কিংবা আশে পাশে পরিচিত কারো বাসায় সাইকেল রেখে যান।
শেষকথা, চোরকে কোন সুযোগই দেয়া চলবে না! সাইকেল চুরি রোধ করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারণ সাইকেল হারিয়ে গেলে আফসোস করেও লাভ হবে না। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে- Prevention is better than cure. তাই আগে ভাগেই সতর্ক থাকুন।
শেষকথা, চোরকে কোন সুযোগই দেয়া চলবে না! সাইকেল চুরি রোধ করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারণ সাইকেল হারিয়ে গেলে আফসোস করেও লাভ হবে না। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে- Prevention is better than cure. তাই আগে ভাগেই সতর্ক থাকুন।
2 Comments
Use of double lock is very good advice
ReplyDeleteYes but make sure both locks are good ones, not fragile and low quality locks.
Deleteকমেন্ট বক্সে আপনার মতামত কিংবা প্রশ্ন করুন
(স্পাম কিংবা অশোভন কোন কমেন্ট করা নিষেধ, এবং সাথে সাথে ব্লক করা হবে)